বাংলাদেশ সফরে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব পেতে চলা কোহলি বলেছেন, ‘কারও জন্য কিংবা কেউ চেয়ে বলেই আমি কখনো নিজেকে বদলাব না। এ ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে হয়তো আমার উন্নতি করা উচিত, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে আমার আগ্রাসী মনোভাবই বজায় থাকবে।’
ধোনির সঙ্গে কেন তুলনা হচ্ছে, সেটাও বুঝছেন না কোহলি, ‘কেন তুলনা হচ্ছে? আমি একেবারেই অন্য ধরনের। আমার ব্যক্তিত্ব আলাদা। তবে হ্যাঁ, বিশ্বজুড়েই অধিনায়কত্বে কিছু ব্যাপারে কিছু জিনিস মানা হয়। খুব বেশি আবেগপ্রবণ না হওয়া। একটু মোটা চামড়ার হওয়া। খেলায় যা হচ্ছে সেটা হজম করে ফেলা।’ এই জায়গায় নিজের উন্নতি করতে হবে, সেটা মানছেন, ‘ভালো অধিনায়কের অন্যতম গুণ হলো আপনার ভেতরের আবেগ যেন প্রকাশ না পেয়ে যায়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এখানে আমি উন্নতি করতে চাই। আপনি কী ভাবছেন, সেটা প্রতিপক্ষ টের পেয়ে গেলে ওরা বাড়তি সুবিধা পেয়ে যায়। এটা আমি বুঝি।’
কোহলির মতো টেস্ট ক্রিকেটে এখন অনেক তরুণ অধিনায়ক। কোহলি মতো যাঁরা আক্রমণাত্মক। এতে টেস্ট ক্রিকেট তার আসল মেজাজ কি হারিয়ে ফেলবে? কোহলির বক্তব্য একটু অন্য রকম, ‘যতক্ষণ দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলছে, ম্যাচ জেতার জন্য খেলছে, ততক্ষণ টেস্ট ক্রিকেট সুরক্ষিতই থাকবে। আপনি চাইলে এটা রোমাঞ্চকর বানাতে পারেন, আবার একঘেয়েও বানাতে পারেন। চার ঘণ্টায় ৮০ রান তুলে লাভ কী?’
তাঁর দল টেস্টে সব সময় জয়ের জন্যই খেলবে। এতে যদি ঝুঁকি নিতে হয়, তাও নেবেন, ‘আমি জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়াতেই বিশ্বাসী, এতে যদি শেষ দিকে ড্র করার জন্য যুঝতে হয়, তাও সই। কিন্তু জয়ের জন্য চেষ্টাটা তো অন্তত করা হবে। তাহলেই খেলাটা রোমাঞ্চকর হবে। অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের চারটা ম্যাচেই দর্শকেরা দুর্দান্ত ছিল, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা বিনোদন দেয় এমন ধাঁচের ক্রিকেটই খেলতে চাই।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন