অনেক বড় ঘটনাই ঘটতে পারত। দেশের মানুষের আশীর্বাদেই কিনা, অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কাছেই বাসা হওয়ায় বৃহস্পতিবার রিকশা করেই অনুশীলনে আসছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। পথে একটি বেপরোয়া বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয় মাশরাফিকে। সতর্ক হয়ে রিকশায় বসার কারণে নিজেকে কিছুটা হলেও সামলাতে পেরেছিলেন। কিন্তু আঘাত তিনি পেয়েছেনই। মাশরাফির এই দুর্ঘটনাটা যেন খেলোয়াড়দের জন্য এক ধরনের সতর্কবার্তাই। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলামের চোখে অন্তত তা-ই। তিনি মাশরাফির রিকশা ভ্রমণের ব্যাপারেও নিজের বিরক্তি ও বিস্ময় চেপে রাখতে পারেননি।
প্রথম আলোর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে খেলোয়াড়দের একটু সতর্ক থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। দুর্ঘটনার ওপর আমাদের কারও কোনো হাত না থাকলেও সেদিন মাশরাফির রিকশায় করে অনুশীলনে আসাটা আমি মেনে নিতে পারছি না। সে হয়তো সরল মনেই রিকশায় চেপেছিল। বাসা কাছে বলেই গাড়ি ব্যবহার করতে চায়নি সে। কিন্তু দুর্ঘটনা তো একটা ঘটেই গেল। গাড়িতে সে অন্তত চোটটা এড়াতে পারত। মাশরাফির মনে রাখা উচিত, সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।’
মাশরাফির এই ঘটনা আমিনুলকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ১৮ বছর আগের এক সকালে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগে ক্যাম্প হচ্ছিল সাভারের বিকেএসপিতে। সে সময় বিকেএসপিতে সুযোগসুবিধার ঘাটতি থাকার কারণে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়ই সেখানে থাকতে চাইতেন না। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সেখানে যাওয়াটা ছিল খুব স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রিকেটে পেশাদারির ছোঁয়াও তখন ঠিক সেভাবে ছিল না। আইসিসি ট্রফির মাস খানেক আগে বিকেএসপিতে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আমিনুলসহ আরও দু-একজন ক্রিকেটার।
স্মৃতি হাতড়ে আমিনুল বললেন, ‘মণি ভাইয়ের (এনামুল হক) গাড়ি সেদিন আমাকে আঘাত করেছিল। অটো গিয়ারের গাড়িতে তিনি কোনো একটা গড়বড় করে ফেলেছিলেন। আমি কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছিলাম। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল আমি বুঝি আর আইসিসি ট্রফিটা খেলতে পারব না। অথচ সতর্ক হলে খুব সহজেই এড়ানো যেত ওই দুর্ঘটনাটি। নিজের গাড়ি চালিয়ে সাভারে অনুশীলনে যাওয়া আর ওখান থেকে ফেরার ব্যাপারটি ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।’
প্রথম আলোর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে খেলোয়াড়দের একটু সতর্ক থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। দুর্ঘটনার ওপর আমাদের কারও কোনো হাত না থাকলেও সেদিন মাশরাফির রিকশায় করে অনুশীলনে আসাটা আমি মেনে নিতে পারছি না। সে হয়তো সরল মনেই রিকশায় চেপেছিল। বাসা কাছে বলেই গাড়ি ব্যবহার করতে চায়নি সে। কিন্তু দুর্ঘটনা তো একটা ঘটেই গেল। গাড়িতে সে অন্তত চোটটা এড়াতে পারত। মাশরাফির মনে রাখা উচিত, সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।’
মাশরাফির এই ঘটনা আমিনুলকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ১৮ বছর আগের এক সকালে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগে ক্যাম্প হচ্ছিল সাভারের বিকেএসপিতে। সে সময় বিকেএসপিতে সুযোগসুবিধার ঘাটতি থাকার কারণে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়ই সেখানে থাকতে চাইতেন না। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সেখানে যাওয়াটা ছিল খুব স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রিকেটে পেশাদারির ছোঁয়াও তখন ঠিক সেভাবে ছিল না। আইসিসি ট্রফির মাস খানেক আগে বিকেএসপিতে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আমিনুলসহ আরও দু-একজন ক্রিকেটার।
স্মৃতি হাতড়ে আমিনুল বললেন, ‘মণি ভাইয়ের (এনামুল হক) গাড়ি সেদিন আমাকে আঘাত করেছিল। অটো গিয়ারের গাড়িতে তিনি কোনো একটা গড়বড় করে ফেলেছিলেন। আমি কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছিলাম। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল আমি বুঝি আর আইসিসি ট্রফিটা খেলতে পারব না। অথচ সতর্ক হলে খুব সহজেই এড়ানো যেত ওই দুর্ঘটনাটি। নিজের গাড়ি চালিয়ে সাভারে অনুশীলনে যাওয়া আর ওখান থেকে ফেরার ব্যাপারটি ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন