ভারতের ব্যাটিং লাই
নআপ বিশ্বের অন্যতম সেরা, তথ্যটা জানাই। কিন্তু লড়াই তো কেবল ব্যাটিং দিয়ে হয় না। টেস্ট ম্যাচ জিততে চাইলে ২০ উইকেট নেওয়ার জোর থাকতে হবে বোলিং লাইনআপে। আসন্ন টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে ভারতীয় বোলারদের? প্রশ্নটা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ-এর।
পত্রিকাটির এক বিশ্লেষণীতে বলা হয়েছে, উপমহাদেশের উইকেট সাধারণত স্পিন-সহায়ক। ভারতের বোলিং শক্তিও স্পিন-নির্ভর। এবার ভারতীয় দলের স্পিন বিভাগের নেতৃত্বে থাকবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সঙ্গে থাকছেন পুরোনো সৈনিক হরভজন সিং। আইপিএলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে হরভজনকে নেওয়া হলেও ভারতীয় নির্বাচক কমিটির ব্যাখ্যা ছিল, ‘বাংলাদেশ দলে ছয়জন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান রয়েছে। এ ছাড়া অধিনায়কের চাহিদাপত্রেও ছিলেন হরভজন।’ উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানরা বরাবরই স্পিনে ভালো। কাজেই ‘ফ্ল্যাট উইকেটে’ এই দুজন স্পিনার দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, তা এক প্রশ্ন।
ভারতীয় দলের পেস আক্রমণে রয়েছেন ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার ও বরুণ অ্যারন। গত আট বছরে এখনো নিজেকে দলের অপরিহার্য করে তুলতে পেরেছেন ইশান্ত? উমেশ যদিও নিজের সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছেন, তবে বড্ড খেয়ালি ও অধারাবাহিক পারফরম্যান্স। ভুবনেশ্বর নিজেকে প্রমাণ করলেও উপমহাদেশের কন্ডিশনে কতটা কার্যকর, সেটিও এক প্রশ্ন। বরুণের বলে গতি থাকলেও মাঝেমধ্যে লাইন-লেংথে খেই হারিয়ে ফেলেন।
সবচেয়ে বড় কথা, সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশের মাটিতে ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্স বলার মতো নয়। সর্বশেষ, গত বছর জুলাইয়ে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট নিতে পেরেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। সে ম্যাচটা জিতেও ছিল ভারত। দেশের মাটিতে সর্বশেষ প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিয়েছিল ২০১৩ সালের নভেম্বরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই সফরে ক্যারিবিয়ানদের ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় স্পিনাররা। শচীন টেন্ডুলকারের বিদায়ী সে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৮ উইকেটের ২৪টিই গিয়েছিল ভারতীয় স্পিনারদের পকেটে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতীয় বোলাররা একই সাফল্য পাবে, ভাবা কঠিনই। সম্প্রতি পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেভাবে সাবলীলভাবে খেলেছে, সেটা ভারতীয় বোলারদের জন্য অশনিসংকেত। এটা মানতে হবে, ভারতের তুলনায় ঢের শক্তিশালী পাকিস্তানি বোলিং লাইনআপ। জুনায়েদ খান, ওয়াহাব রিয়াজের মতো বিশ্বমানের পেসারদের সঙ্গে ছিলেন ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর, মোহাম্মদ হাফিজের মতো শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ। এমন বোলিং লাইনআপ নিয়েও ঢাকা টেস্ট বাদে গোটা সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে পাকিস্তান দলকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশ রান তুলেছে ৮২০, বিপরীতে মাত্র ১১ উইকেট নিতে পেরেছিল পাকিস্তানি বোলাররা। তবে টেস্টে বেশ সফল ছিল মিসবাহর দল। চার ইনিংসে বাংলাদেশ রান তুলেছে ১৩১১, উইকেট হারিয়েছে ৩৪টি। এই ৩৪ উইকেটের ২০টি নিয়েছিলেন পাকিস্তানি স্পিনাররা। এ পরিসংখ্যান দেখে ভারতীয় দল আশাবাদী হতে পারে। কারণ, তাদের বোলিং শক্তিও স্পিন। তবে ভারতীয় স্পিনাররা সাফল্য পেলে নিশ্চয় হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামরাও।
সব মিলিয়ে জমজমাট এক সিরিজের বার্তা ছড়িয়েই ১০ জুন শুরু হবে ফতুল্লা টেস্ট।
নআপ বিশ্বের অন্যতম সেরা, তথ্যটা জানাই। কিন্তু লড়াই তো কেবল ব্যাটিং দিয়ে হয় না। টেস্ট ম্যাচ জিততে চাইলে ২০ উইকেট নেওয়ার জোর থাকতে হবে বোলিং লাইনআপে। আসন্ন টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে ভারতীয় বোলারদের? প্রশ্নটা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ-এর।
পত্রিকাটির এক বিশ্লেষণীতে বলা হয়েছে, উপমহাদেশের উইকেট সাধারণত স্পিন-সহায়ক। ভারতের বোলিং শক্তিও স্পিন-নির্ভর। এবার ভারতীয় দলের স্পিন বিভাগের নেতৃত্বে থাকবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সঙ্গে থাকছেন পুরোনো সৈনিক হরভজন সিং। আইপিএলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে হরভজনকে নেওয়া হলেও ভারতীয় নির্বাচক কমিটির ব্যাখ্যা ছিল, ‘বাংলাদেশ দলে ছয়জন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান রয়েছে। এ ছাড়া অধিনায়কের চাহিদাপত্রেও ছিলেন হরভজন।’ উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানরা বরাবরই স্পিনে ভালো। কাজেই ‘ফ্ল্যাট উইকেটে’ এই দুজন স্পিনার দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, তা এক প্রশ্ন।
ভারতীয় দলের পেস আক্রমণে রয়েছেন ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার ও বরুণ অ্যারন। গত আট বছরে এখনো নিজেকে দলের অপরিহার্য করে তুলতে পেরেছেন ইশান্ত? উমেশ যদিও নিজের সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছেন, তবে বড্ড খেয়ালি ও অধারাবাহিক পারফরম্যান্স। ভুবনেশ্বর নিজেকে প্রমাণ করলেও উপমহাদেশের কন্ডিশনে কতটা কার্যকর, সেটিও এক প্রশ্ন। বরুণের বলে গতি থাকলেও মাঝেমধ্যে লাইন-লেংথে খেই হারিয়ে ফেলেন।
সবচেয়ে বড় কথা, সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশের মাটিতে ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্স বলার মতো নয়। সর্বশেষ, গত বছর জুলাইয়ে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট নিতে পেরেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। সে ম্যাচটা জিতেও ছিল ভারত। দেশের মাটিতে সর্বশেষ প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিয়েছিল ২০১৩ সালের নভেম্বরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই সফরে ক্যারিবিয়ানদের ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় স্পিনাররা। শচীন টেন্ডুলকারের বিদায়ী সে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৮ উইকেটের ২৪টিই গিয়েছিল ভারতীয় স্পিনারদের পকেটে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতীয় বোলাররা একই সাফল্য পাবে, ভাবা কঠিনই। সম্প্রতি পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেভাবে সাবলীলভাবে খেলেছে, সেটা ভারতীয় বোলারদের জন্য অশনিসংকেত। এটা মানতে হবে, ভারতের তুলনায় ঢের শক্তিশালী পাকিস্তানি বোলিং লাইনআপ। জুনায়েদ খান, ওয়াহাব রিয়াজের মতো বিশ্বমানের পেসারদের সঙ্গে ছিলেন ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর, মোহাম্মদ হাফিজের মতো শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ। এমন বোলিং লাইনআপ নিয়েও ঢাকা টেস্ট বাদে গোটা সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে পাকিস্তান দলকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশ রান তুলেছে ৮২০, বিপরীতে মাত্র ১১ উইকেট নিতে পেরেছিল পাকিস্তানি বোলাররা। তবে টেস্টে বেশ সফল ছিল মিসবাহর দল। চার ইনিংসে বাংলাদেশ রান তুলেছে ১৩১১, উইকেট হারিয়েছে ৩৪টি। এই ৩৪ উইকেটের ২০টি নিয়েছিলেন পাকিস্তানি স্পিনাররা। এ পরিসংখ্যান দেখে ভারতীয় দল আশাবাদী হতে পারে। কারণ, তাদের বোলিং শক্তিও স্পিন। তবে ভারতীয় স্পিনাররা সাফল্য পেলে নিশ্চয় হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামরাও।
সব মিলিয়ে জমজমাট এক সিরিজের বার্তা ছড়িয়েই ১০ জুন শুরু হবে ফতুল্লা টেস্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন